Download Free Audio of আমিই আবু রায়হানের �... - Woord

Read Aloud the Text Content

This audio was created by Woord's Text to Speech service by content creators from all around the world.


Text Content or SSML code:

আমিই আবু রায়হানের স্ত্রী ছিলাম। এই লেখার পরে হয়তো আমার আইডি আবার নষ্ট হতে পারে। আমি পরকিয়ার ব্যাপারের প্রুফ গুলো ভাইরাল করি কিনা এটার জন্যে তারা আগে থেকেই আমার নামের স্ক্রিনশট গুলো বানিয়ে রেখেছে যেসব কিছুদিন আগে পোষ্ট করেছিলাম। যেদিন আমি তাদের দুজনের পরকিয়াটা হাতেনাতে ধরেছিলাম সেদিন আমার সুইসাইড করার মতো অবস্থা ছিলো। আট বছরের রানিং সংসারে হ্যাপিনেস ছিলো কিন্তু মেয়ে জনিত কারণে অশান্তিটাই বেশী ছিলো। হ্যা আট বছর আগে রায়হান এতোটাও লাক্সারিয়াস কেউ ছিলোনা।আমিও অনেক ছোট ছিলাম।মাত্র নাহবেমির পরতাম।বিয়ের পরে ঢাকায় গিয়ে 2টা বছর শুধু একটা খাট ছিলো আর কিচ্ছুই ছিলো না।আট বছর আগের ওর ক্যারিয়ারের মেমোরি দেখলেই বুঝবেন।আট বছরে রায়হান খুব এলিট হয়ে যায়।এখন একজন দ্বীন মেনে চলা নামাজ পর্দা নিয়ে কঠোরতা করা ওয়াইফ দিয়ে তার লাইফ চলবে কেনো? তবে হ্যা তার বাবা সত্যিই অনেক পরহেজগার ছিলেন।তার বাবা বেচে থাকতে সে এতোটাও বখে যেতে পারেনি।অবশ্য আল্লাহই ভালো জানে সে কতটা আগে থেকেই চারিত্রিক অধপতনে আছে।যেহেতু আমার ফ্যামিলিতে তখন স্মার্ট ফোন কারুরই ছিলো না বা কেউই মিডিয়া মুখী ছিলো না তাই তার খারাপ দিক গুলো আমার গার্ডিয়ানের বা আমার কানে আসা সম্ভব ছিলো না।কঠোর পর্দা আর ছোট গন্ডিতে বড় হওয়া আমি এতোটাও চতুর ছিলাম না যে তার সম্পর্কে এমন খবর আমার কানে আসবে।বয়স অনেক কম হওয়ায় ইম্ম্যাচিউর ছিলাম অনেক। তার ইনোসেন্ট মায়া বুজুর্গ চেহারা দেখে বুঝার উপায় ছিলো না যে সে এমন হবে। তার দাওরার সার্টিফিকেট দেখিয়েই সে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।আর সে সময় শুধু ক্যাসেটে নাশীদ বলাটা এতোটাও অধপতন মনে করার কিছু ছিলো না। আমাকে বিয়ের সময় সে তার বাবা চাচা সহ আলেমদের সাথে নিয়ে গিয়েই বিয়ে করেছে আমায়। যখন বিয়ের 2বছর হওয়ার আগেই তার সেক্সুয়াল অডিও ফাস হয় তখন আল্লাহই জানে আমি তার রিকুয়েষ্ট আর ভালোবাসার কথা শুনে আমার ফ্যামিলিকে কি করে ম্যানেজ করেছিলাম ডিভোর্স নেয়া থেকে,আমি তার কসম শুনে আর গুছিয়ে মিথ্যা বলা দেখে ভেবেই নিয়েছিলাম তার নামে এগুলো বানিয়েছে।।আমি সেই অশ্লীল সেক্সুয়াল কথা বলা মেয়েটাকে আমি বলে দাবী করে আমার রাগে উন্মাদ ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করেছিলাম।এন্ড এখন বলতেছি অল্লহি ওই মেয়ে আমি ছিলাম না। একেরপর এক মেয়ের সাথে রিলেশন এর খবরে আমি দিনদিন আস্ত পাগলে পরিণত হচ্ছিলাম।যথেষ্ট ম্যাচিউরিটির সাথে হ্যান্ডেল করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে তার সিংগেল ইমেজ আর মেয়েদের নেশা কিছুতেই কাটাতে পারবেনা।প্রুফ পাচ্ছিলাম তাকে দেখাচ্ছিলাম আর সে আমায় পাগল বলে আখ্যায়িত করতেছিলো। নিজের মাথা দেয়ালে আঘাত করতাম।কুত্তার বাচ্চা বলে গালিগালাজ করতেও দ্বিধা করিনি।কখনো কখনো নিজেই তালাক পর্যন্ত চেয়ে বসতাম।নখ দিয়ে তাকে আচড়ে পর্যন্ত দিতাম কিন্তু সে নির্বিকার।পরিবর্তন অসম্ভব তার জন্যে।সে বাহিরের মেয়ে ছাড়বেইনা কিছুতেইনা। আমি এক আলেম ফ্যামিলির মেয়ে প্লাস নিজেই একজন আলেমা আর ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় তার মর্ডান পরিবর্তন গুলো ও আমার জন্যে প্রেশার ছিলো। গেঞ্জি টাউজার আর হ্যাট এটা আমার স্বামী হিসেবে আমার জন্যে মর্মান্তিক কষ্টের ছিলো। টিকটক সিনেমা এগুলোতে কন্টিনিউ হওয়া এন্ড নামাজ কালাম ছেড়ে দিয়ে বাহিরে বিজি থাকা এগুলো আমার জন্যে মৃত্যুর চেয়েও কষ্টের ছিলো। একটা স্ত্রী কতটা সহ্য করতে পারে। কয়েকবার আইডি খুলে প্রোমোট নিয়েছিলাম রায়হানের স্ত্রী হিসেবে এবং এর পরে পরেই আমার আইডি কেউ নষ্ট করে দেয়।পরে এক হ্যাকার নিজেই আমায় চিনে বলে রায়হানই তাকে হায়ার করেছে আইডি নষ্ট করার জন্যে। আমি গীতিকার ছিলাম।আমার লেখা 6টা গান পাবলিশ করেছে কিন্তু ছদ্মনাম দিয়ে।আমার লেখা অসংখ্য নাশীদ সে রিলিজ করেনি গীতিকার এর স্থানে আমার নাম দেয়ার রিকুয়েষ্ট করায়। প্রথমে খুশীই ছিলাম যে সে কতো গায়রাতওয়ালা। কিন্তু পরে বুঝেছি যে সে নিজেকে বিক্রি করার জন্যেই আমায় হাইড করে। সে তার ফোনের পাসওয়ার্ড দিতো না এটাও আমার জন্যে যন্ত্রণার ছিলো। আট বছরের বিবাহিত লাইফে আমার পড়াশোনা সহ প্রায় পাচ বছর বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি নিষেধ ছিলো রায়হানের।অত:পর বাকি তিন বছর কন্সিভ করার অনেক চেষ্টা করেও হচ্ছিলো না,অথচ আমি তিনজন গাইনি দেখিয়েছি তিনজনেই বলেছেন আমি ফিজিক্যালি একদম ফিট।জানিনা এখানে রায়হানের কোন ক্যালমা ছিলো নাকি আল্লাহ আমাকে বাচিয়ে নিবে বলেই একজন চরিত্রহীন এর সন্তান আমার গর্ভে দেয়নি। এরপরেও মুহাব্বাতটা তিব্র ছিলো বলে চেয়েছিলাম সংসারটা থাক ভেংগে না যাক।অনেক তিলে তিলে আট বছরে নিখুঁত করে সাজিয়েছিলাম সংসারটাকে। লিপা পারভীনের সাথে কথাও হয়েছিলো আমার। কলরবে বিচার চেয়েছিলাম।উনারা আমাকে বিচার দেয়ার চেয়ে রায়হানকে কলরবে রাখার লাভের পরিমানটা পরিমাপ করেছিলেন বেশী হয়তো তাই তাকে বহিস্কারের বদলে উলটা তাকে নিয়ে মাতামাতিই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেও তাদের পরকিয়ার কঠিন পরিণতিতে হুট করেই চরম ঘৃণা এসে গিয়েছিলো। ডিভোর্স হয়ে যায়।আমার ফ্যামিলি সাপোর্ট এর কারণে মেন্টাল ট্রমাটা সামলাতে না সামলাতেই খবর পাই তারা বিয়ে করেছে।পরে রায়হান আমার ভাইদের ফোনকরে বলে লিপা নাকি রায়হানকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছে এগুলো বলে রায়হান ক্ষমা ভিক্ষা চায়।এন্ড বলে সে ব্যাক করবে। যেহেতু তালাকটা এক তালাক ছিলো ভেবেছিলাম ওদিকে সব মিটমাট করে সে ব্যাক হলে মেনেই নিবো যেহেতু এতো বছরের মুহাব্বাতের মানুষ আমার।কঠিন ইন্ট্রোভার্ট টাইপের মেয়ে তাই আসক্তিটা স্বামীর উপরে নিস্পাপ ভাবে তুলনামূলক বেশীই ছিলো।আর যেহেতু একটা মেয়ে ব্লাকমেইল করেছে তাই রাগটা গিয়ে লিপা পারভীন এর উপরেই পরে।অবশ্যই লিপা পারভীন ও দায়ী।তাকে আমার সংসারের সব প্রুফ দেখানোর পরেও আমাকে হটিয়ে তার রায়হানকে চাইই। বিজনেসম্যান মেয়ে।শরীর বিক্রি করে তার লাভ কুলাচ্ছিলো না।নিজের স্বামীকে তালাক দিয়ে একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করে তাকে সুখ খুজতে হবে।।তার আগের স্বামীর সাথে আট বছর প্রেম করে বিয়ে করে 1বছর সংসার করে নিজেই তাকে তালাক দিয়ে 11লাখ টাকা মোহরানা নিয়ে ঢাকায় এসে বিজনেস জুড়ে বসে।ঢাকার মতো জায়গায় সে একা একটা মেয়ে থাকতো একটা বাসা ভারা নিয়ে।তাকে রিকুয়েষ্ট করার পরেও সে সরে যায়নি পরকিয়া থেকে।এখন ভাগ্য নিয়ে বিশাল দরবেশ সাজে।লিপা যে পিকচারটা প্রোফাইল দিয়েছে ওই সময়টাতে রায়হান আমার স্বামীই ছিলো।তার চুল স্ট্রেট ছিলো না।খুব অপছন্দ ছিলো চুল স্ট্রেইট করা এজন্যে যখন ওমরাহ গিয়েছিলাম রিকুয়েষ্ট করে ন্যারা করিয়েছি।এসে আবার চুল বড় হয় এরপরে স্ট্রেইট করে সে সময়ও আমি স্ত্রী ছিলাম।একটা মেয়ে কতটা সস্তা হলে একটা বিবাহিত পুরুষকে শরীরের স্পর্শ দিয়ে পাগল বানাতে চায় পিকচারটা দেখলেই বুঝবেন।